দুর্বার রাজশাহীর বিপাকে ক্রিকেটাররা: আবারও চেক বাউন্স, পারিশ্রমিকের অপেক্ষায় সবাই
বিপিএলে একের পর এক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে দুর্বার রাজশাহী। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে টানাপোড়েন, হোটেল বিল না মেটানো, এবং বারবার চেক বাউন্সের মতো ঘটনায় দলটির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম পর্বে শুরু সমস্যা
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে রাজশাহীর প্রথম খেলা ছিল ১৭ জানুয়ারি। কিন্তু ম্যাচের আগে ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক না পাওয়ার প্রতিবাদে অনুশীলনে যাননি ক্রিকেটাররা। এমনকি টিম হোটেলের বিল পরিশোধ না করায় সেখানে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ঢাকায় ফেরার পরও একই অবস্থা
চট্টগ্রাম পর্ব কোনোমতে শেষ করে ঢাকায় ফেরে রাজশাহী। ঢাকায় ফিরে খেলোয়াড়রা মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানান। পরে মালিকপক্ষ দেশি ক্রিকেটারদের হাতে পারিশ্রমিকের চেক তুলে দেয়। সেই চেক নিয়ে খেলোয়াড়রা মাঠে নামেন। এমনকি রাজশাহীর সাবেক অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় চেক হাতে সতীর্থদের সঙ্গে সেলফি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করেন।
বিদেশি খেলোয়াড়দের ম্যাচ বয়কট
সেদিন দেশি ক্রিকেটাররা মাঠে নামলেও বিদেশি খেলোয়াড়রা ম্যাচ বয়কট করেন। বিপিএলের নিয়ম ভেঙে শুধু দেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে নামে রাজশাহী। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তারা জয় পেলেও পরবর্তী সময় আবারও বিতর্কে জড়ায়।
আবারও চেক বাউন্স
ম্যাচ শেষে উদযাপন সত্ত্বেও মাত্র একদিন পর খেলোয়াড়দের দেওয়া চেক বাউন্স করে। দলের এক ক্রিকেটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ব্যাংকে চেক নিয়ে গেলে খালি হাতেই ফিরতে হয়। এতে খেলোয়াড়রা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
মালিকপক্ষের প্রতিশ্রুতি
মালিকপক্ষ থেকে খেলোয়াড়দের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, পরবর্তী ম্যাচের আগেই সব বকেয়া পরিশোধ করা হবে। তবে রাজশাহীর প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা নির্ভর করছে অন্যান্য দলের ফলাফলের ওপর। যদি তারা প্লে-অফে উঠতে না পারে, তবে কার্যত তাদের বিপিএল যাত্রা এখানেই শেষ হবে।
হতাশ ক্রিকেটাঙ্গন
বারবার চেক বাউন্স এবং অন্যান্য আর্থিক জটিলতায় ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা প্রভাবিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দলটি কিভাবে সামনের ম্যাচগুলোতে খেলবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
দুর্বার রাজশাহীর এই বিতর্ক কেবল দলটির জন্যই নয়, পুরো বিপিএলের ভাবমূর্তির জন্যও একটি নেতিবাচক দিক হয়ে উঠেছে।