বাংলাদেশে ক্রিপ্টো কর নীতিমালা ২০২৫ – সর্বশেষ আপডেট
বাংলাদেশে এখনো ক্রিপ্টোকারেন্সি আইনগতভাবে সম্পূর্ণ বৈধ বা অবৈধ নয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর (NBR) কিছু নির্দেশনা দিয়েছে যা ক্রিপ্টো ইনকাম, ইনভেস্টমেন্ট ও ট্রান্সঅ্যাকশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে।
⚖️ বাংলাদেশে ক্রিপ্টো আইনগত অবস্থা
- 📌 বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৭ সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল: ক্রিপ্টোকারেন্সি দেশে বৈধ নয়
- 📌 তবে ২০২2-2024 এর মধ্যে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে, সরকার আইন প্রণয়ন ভাবছে
- 📌 Binance বা অন্য এক্সচেঞ্জে ইনভেস্টমেন্ট বর্তমানে গ্রে জোনে (নির্দিষ্ট করে নিষিদ্ধ না, অনুমোদিতও না)
💰 ক্রিপ্টো আয়ের উৎস হিসেবে ধরলে কর কেমন হতে পারে?
যদি সরকার ভবিষ্যতে ক্রিপ্টো ইনকামকে বৈধ করে, তাহলে নিচের কয়েকটি ট্যাক্স কাঠামো ব্যবহার করা হতে পারে:
ইনকাম টাইপ | সম্ভাব্য কর |
---|---|
ট্রেডিং প্রফিট (Short Term) | ব্যক্তিগত আয় হিসেবে ১০%–২৫% |
Long-term Holding Profit | ক্যাপিটাল গেইন হিসেবে কম হারে |
Mining বা Bot আয় | ব্যবসায়িক ইনকাম হিসেবে ধরা হতে পারে |
P2P Income | ব্যাংক ট্রান্সফার রেকর্ড অনুযায়ী হিসাব করা হতে পারে |
🧾 KYC ও Transaction Proof কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- আপনার Binance Wallet বা P2P অ্যাকাউন্টের KYC ঠিকঠাক থাকলে ভবিষ্যতে কোনো প্রমাণ লাগলে সহজে দেওয়া যাবে
- Bank Statement, Wallet Statement, Trade History সংরক্ষণ করুন
- Bkash/Nagad Transaction ID গুলো স্ক্রিনশট করে রাখতে পারেন
⚠️ কি করবেন?
✅ শেখার পাশাপাশি সতর্ক থাকুন
✅ বড় লেনদেন করলে Bank Statement প্রুফ রাখুন
✅ সরকার আইন করলে, কর দিতে প্রস্তুত থাকুন
✅ কোনোরকম Scamming বা Money Laundering কার্যক্রমে জড়াবেন না
❌ কি করবেন না?
❌ অন্যের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবহার করা
❌ ফেক KYC দিয়ে Binance চালানো
❌ WhatsApp/Facebook মাধ্যমে বাইরের মাধ্যমে লেনদেন করা
❌ একাধিক একাউন্ট দিয়ে ফান্ড ঘোরানো