মাসে কত সুদ পাওয়া যায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে?
বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ব্যবস্থা মানুষের সঞ্চয় ও বিনিয়োগের জন্য নানা সুবিধা প্রদান করে থাকে। আমাদের দেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত অর্থ থেকে লাভ অর্জন করার জন্য নানা ধরনের ডিপোজিট স্কিম ও সঞ্চয়ী হিসাবের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে, এক প্রশ্ন অনেকের মনে আসতে পারে— ১০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে মাসে কত টাকা পাওয়া যায়?
এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর—সেগুলি হলো:
- ব্যাংকের সুদের হার
- অর্থ জমা রাখার মেয়াদ
- ট্যাক্স এবং অন্যান্য শর্তাবলি

১. ব্যাংকের সুদের হার
বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক তাদের সঞ্চয়ী হিসাব বা টার্ম ডিপোজিটের জন্য বিভিন্ন সুদের হার অফার করে থাকে। সাধারণত, সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য সুদের হার প্রায় ৩%-৫% হতে পারে, আর টার্ম ডিপোজিট বা ফিক্সড ডিপোজিটের জন্য সুদের হার কিছুটা বেশি হতে পারে, যেমন ৬%-৮% বা তারও বেশি।
ধরা যাক, আপনি একটি ফিক্সড ডিপোজিট খুললেন, যেখানে সুদের হার ৭% বার্ষিক। তাহলে, ১০ লক্ষ টাকা বছর শেষে ৭% সুদে কত লাভ হবে তা বের করা যেতে পারে।
২. সুদের হিসাব
- বার্ষিক সুদ (৭%) = ১০,০০,০০০ x ০.০৭ = ৭০,০০০ টাকা
- মাসিক সুদ = ৭০,০০০ ÷ ১২ = ৫,৮৩৩ টাকা
এখানে মনে রাখতে হবে, এটি একটি আনুমানিক হিসাব এবং ব্যাংকের সুদের হার ও শর্তাবলীর ওপর ভিত্তি করে পরিমাণ কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। এছাড়া, কিছু ব্যাংক মুনাফা প্রতি মাসে প্রদান করে, আর কিছু ব্যাংক বার্ষিক বা ছয় মাস পর সুদ প্রদান করে।
৩. ট্যাক্স
ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা অর্থ থেকে উপার্জিত সুদের ওপর কিছু ট্যাক্স কাটা হতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণত, ব্যাংক সঞ্চয়ে সুদের উপর ১০% ট্যাক্স কাটা হয়, যা পরে সরকারের কাছে জমা হয়। উদাহরণস্বরূপ:
- মাসিক সুদের পরিমাণ ছিল ৫,৮৩৩ টাকা
- ট্যাক্স (১০%) = ৫,৮৩৩ x ০.১০ = ৫৮৩ টাকা
- মাসিক লাভ = ৫,৮৩৩ – ৫৮৩ = ৫,২৫০ টাকা
৪. অন্যান্য শর্তাবলী
কিছু ব্যাংক নির্দিষ্ট মেয়াদ (যেমন ৬ মাস, ১ বছর) শেষে এককালীন সুদ প্রদান করে থাকে। যদি আপনি ১ বছরের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ডিপোজিট করেন, তাহলে আপনি এক বছরে সারা বছরের সুদ একসঙ্গে পাবেন। আবার, কিছু ব্যাংক সুদের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে বিশেষ অফারও দিতে পারে।
আপনি যদি ১০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখেন এবং ধরেন সুদের হার ৭%, তবে মাসিক লাভ আনুমানিক ৫,২৫০ টাকা হবে, যা আপনি সুদ আকারে পেতে পারেন। তবে, এটি এক প্রকারের সামগ্রিক হিসাব এবং ব্যাংক থেকে ব্যাংকে এটি পরিবর্তিত হতে পারে। যেহেতু, সুদের হার ও শর্তাবলী পরিবর্তিত হতে পারে, তাই সর্বদা ব্যাংকের অফিসিয়াল তথ্য যাচাই করা উচিত।
অবশ্যই মনে রাখবেন, সুদের হার কেবল একটি উপায় নয়, আরো অন্যান্য বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে যেখানে আপনি আরও বেশি লাভ করতে পারেন। তবে, নিরাপত্তা এবং সহজলভ্যতার দিক থেকে ব্যাংক ডিপোজিট এক অন্যতম ভালো বিকল্প।
১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে মাসে কত টাকা পাওয়া যায়?
১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে যে পরিমাণ সুদ পাওয়া যাবে, তা মূলত ব্যাংকের সুদের হার, অর্থ জমা রাখার মেয়াদ, এবং অন্যান্য শর্তাবলীর ওপর নির্ভর করে। সাধারণত সঞ্চয়ী হিসাব বা টার্ম ডিপোজিটের মাধ্যমে এই লাভ পাওয়া যায়।
১. ব্যাংকের সুদের হার
বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব বা টার্ম ডিপোজিটের জন্য সুদের হার ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য সুদের হার ৩%-৫% এবং টার্ম ডিপোজিটের জন্য সুদের হার ৬%-৮% পর্যন্ত হতে পারে। ধরুন, আপনি একটি টার্ম ডিপোজিট খুলেছেন যেখানে সুদের হার ৭%।
২. সুদের হিসাব
- বার্ষিক সুদ (৭%) = ১,০০,০০০ x ০.০৭ = ৭,০০০ টাকা
- মাসিক সুদ = ৭,০০০ ÷ ১২ = ৫৮৩ টাকা
অর্থাৎ, ৭% সুদে ১ লক্ষ টাকা রাখলে, মাসে আনুমানিক ৫৮৩ টাকা লাভ হবে।
৩. ট্যাক্স
ব্যাংক সঞ্চয়ে সুদের ওপর ১০% ট্যাক্স কাটার বিধান রয়েছে। সুতরাং, আপনার ৫৮৩ টাকার সুদের ওপর ট্যাক্স কাটা হবে:
- ট্যাক্স (১০%) = ৫৮৩ x ০.১০ = ৫৮.৩ টাকা
- মাসিক লাভ = ৫৮৩ – ৫৮.৩ = ৫২৪.৭ টাকা
এভাবে, আপনি যদি ১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখেন এবং সুদের হার ৭% হয়, তবে মাসে আনুমানিক ৫২৪.৭ টাকা লাভ পাবেন। তবে, মনে রাখবেন ব্যাংকগুলির সুদের হার ও শর্তাবলী পরিবর্তিত হতে পারে, সুতরাং এই হিসাবটি ব্যাংকের সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সামঞ্জস্য করা উচিত।
কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি
বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়ী হিসাব এবং টার্ম ডিপোজিট স্কিম অফার করে থাকে, এবং তাদের সুদের হারও ভিন্ন হতে পারে। তবে, সর্বোচ্চ সুদ প্রদানকারী ব্যাংক নির্বাচনের জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
১. ব্যাংকের সুদের হার
বিশ্বস্ত এবং বড় ব্যাংকগুলির মধ্যে সুদের হার কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু ব্যাংক যেমন ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক কিছু বেশি সুদের হার প্রস্তাব করে থাকে।
২. টার্ম ডিপোজিট vs সঞ্চয়ী হিসাব
- টার্ম ডিপোজিট (Fixed Deposit) সাধারণত বেশি সুদ প্রদান করে থাকে।
- সঞ্চয়ী হিসাব (Savings Account) সাধারণত কম সুদ প্রদান করে থাকে।
৩. সুদের হার এবং শর্তাবলী
- ব্যাংক নির্বাচনের সময় শর্তাবলী যেমন “মিনিমাম ডিপোজিট”, “মেয়াদ”, এবং “সুদের প্রদানের পদ্ধতি” যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
- কিছু ব্যাংক বছরে একবার সুদ দেয়, আবার কিছু ব্যাংক মাসে মাসে সুদ প্রদান করে।
৪. সর্বাধিক সুদের হার পেতে কিছু ব্যাংকের নাম
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড: সুদের হার ৭%-৮% পর্যন্ত হতে পারে।
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক: সাধারণত ৬%-৭% সুদ পেতে পারেন।
- সিটি ব্যাংক: সুদের হার ৬%-৭% হতে পারে।
- প্রাইম ব্যাংক: ৬%-৭% সুদ।
- ব্র্যাক ব্যাংক: ৬%-৭% সুদ।
৫. অন্যান্য বিবেচ্য বিষয়
- ট্যাক্স: সব ব্যাংকেই সুদের উপর ১০% ট্যাক্স কাটা হয়।
- এন্টারপ্রাইজ স্কিম: কিছু ব্যাংক বিশেষ প্রকারের ডিপোজিট স্কিম অফার করে, যেমন ডিপোজিট স্কিম ফর রিটায়ারমেন্ট বা স্কিম ফর কর্পোরেট সেভিংস, যার মাধ্যমে আরও বেশি সুদ লাভ করা যেতে পারে।
সর্বোচ্চ সুদের হার পাওয়ার জন্য আপনার ডিপোজিটের মেয়াদ এবং ব্যাংকের শর্তাবলী যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, প্রায় সব বড় ব্যাংকেই সুদের হার ৬%-৮% হতে পারে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংক এবং স্কিম নির্বাচন করলে সবচেয়ে ভাল লাভ পাওয়া যাবে।
কোন ব্যাংকে এফডিআর লাভ বেশি
বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক তাদের স্থায়ী আমানত (এফডিআর) স্কিমের জন্য বিভিন্ন সুদের হার প্রদান করে থাকে, যা ব্যাংক এবং আমানতের মেয়াদের ওপর নির্ভর করে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, কিছু ব্যাংক এফডিআরে তুলনামূলকভাবে উচ্চ সুদের হার প্রদান করছে।
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক:
- এনআরবি ব্যাংক: তিন থেকে ছয় মাসের মেয়াদে ৫% থেকে ১০.৫০% পর্যন্ত সুদ প্রদান করছে। ছয় মাস থেকে এক বছরের মেয়াদে ৬.৫০% থেকে ১০.৭৫% এবং তিন বছরের বেশি মেয়াদে ১২% থেকে ১৩.৪৬% পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে। jagonews24.com
- সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এসবিএসি): তিন মাস থেকে তিন বছর বা তার বেশি মেয়াদের এফডিআরে ৫% থেকে ১২% পর্যন্ত সুদ প্রদান করছে। jagonews24.com
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক:
- বেসিক ব্যাংক: তিন থেকে ছয় মাসের মেয়াদে ৭% থেকে ৯.২৫% পর্যন্ত, ছয় মাস থেকে এক বছরের মেয়াদে ৭.২৫% থেকে ১০%, এক বছর থেকে তিন বছরের মেয়াদে ৭.৫% থেকে ৯.৫% এবং তিন বছরের বেশি মেয়াদে ১০.৬৭% পর্যন্ত সুদ প্রদান করছে। jagonews24.com
ইসলামী ব্যাংক:
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড: বিভিন্ন মেয়াদি সঞ্চয়ের ওপর সাড়ে ১০% থেকে ১১% পর্যন্ত মুনাফা প্রদান করছে। jagonews24.com
বিবেচ্য বিষয়:
এফডিআর করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত:
- সুদের হার: বিভিন্ন ব্যাংকের সুদের হার তুলনা করে সর্বোচ্চ সুদের হার প্রদানকারী ব্যাংক নির্বাচন করুন।
- মেয়াদ: আপনার সঞ্চয়ের মেয়াদ অনুযায়ী সুদের হার পরিবর্তিত হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি এফডিআরে সাধারণত বেশি সুদ প্রদান করা হয়।
- নিরাপত্তা: ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং সুনাম বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।
- শর্তাবলী: এফডিআর সম্পর্কিত ব্যাংকের শর্তাবলী, যেমন পূর্বে টাকা উত্তোলনের নিয়ম, জরিমানা ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নিন।
সর্বোচ্চ মুনাফা পেতে বিভিন্ন ব্যাংকের এফডিআর স্কিম এবং তাদের শর্তাবলী ভালোভাবে পর্যালোচনা করে আপনার জন্য উপযুক্ত ব্যাংক নির্বাচন করুন।
ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ কি
ব্যাংকে টাকা রাখলে কিছু সুবিধা এবং লাভ রয়েছে, তবে কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এখানে ব্যাংকে টাকা রাখার লাভ এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো—
ব্যাংকে টাকা রাখার লাভ ও সুবিধা
১. নিরাপদ সঞ্চয়:
ব্যাংকে টাকা রাখলে এটি চুরি বা ক্ষতির ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকে, যা নগদ টাকা বাড়িতে রাখার তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ।
২. সুদ/লাভ পাওয়া যায়:
আপনার টাকা ব্যাংকে রাখলে সেটি নির্দিষ্ট সুদের হারে বাড়তে পারে। বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী সুদের হার ভিন্ন হয়—
- সঞ্চয়ী হিসাব (Savings Account): ৩%-৫% পর্যন্ত সুদ পাওয়া যায়।
- স্থায়ী আমানত (FDR): ৬%-১২% পর্যন্ত সুদ পাওয়া যায়, যা ব্যাংক ও মেয়াদের ওপর নির্ভর করে।
- ডিপিএস (DPS – Monthly Savings Scheme): মাসিক ভিত্তিতে সঞ্চয় করলে নির্দিষ্ট সময় শেষে ভালো লাভ পাওয়া যায়।
৩. লেনদেন সহজ হয়:
ব্যাংকে টাকা রাখলে চেক, ডেবিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই লেনদেন করা যায়।
৪. ঋণ সুবিধা পাওয়া যায়:
ব্যাংকে যদি আপনার ভালো সঞ্চয় হিসাব থাকে, তাহলে সহজেই ঋণ (Loan) নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
৫. ব্যবসায়িক সুবিধা:
অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংকে টাকা জমা রেখে ব্যবসার জন্য ওভারড্রাফট সুবিধা, এলসি (LC), এবং অন্যান্য আর্থিক পরিষেবা নিতে পারেন।
৬. বিনিয়োগের সুযোগ:
কিছু ব্যাংক সঞ্চয় বন্ড, শেয়ার মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদিতে বিনিয়োগের সুযোগও দেয়।
ব্যাংকে টাকা রাখার কিছু সীমাবদ্ধতা
১. সুদের হার কম:
ব্যাংকের সুদের হার সাধারণত মূল্যস্ফীতির (Inflation) তুলনায় কম হতে পারে। ফলে কিছু ক্ষেত্রে আসল ক্রয়ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
২. ট্যাক্স ও চার্জ:
সুদ থেকে ব্যাংক ১০%-১৫% পর্যন্ত ট্যাক্স কেটে রাখে। এছাড়া, কিছু অ্যাকাউন্ট মেইনটেনেন্স চার্জ, লেনদেন ফি ইত্যাদিও থাকে।
৩. টাকা উত্তোলনে কিছু সীমাবদ্ধতা:
কিছু ফিক্সড ডিপোজিট (FDR) বা ডিপিএস (DPS) স্কিমে নির্ধারিত সময়ের আগে টাকা তুলতে চাইলে জরিমানা দিতে হয়।
ব্যাংকে টাকা রাখলে নিরাপত্তা, সুদ সুবিধা এবং সহজ লেনদেনের সুবিধা পাওয়া যায়। তবে, যদি আপনি বেশি লাভ চান, তাহলে উচ্চ সুদযুক্ত এফডিআর (FDR) বা ডিপিএস (DPS) স্কিম বেছে নিতে পারেন। ব্যাংক নির্বাচন এবং সুদের হার যাচাই করেই টাকা রাখা ভালো।
[…] ১০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে মাসে কত টাক… […]
[…] ১০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে মাসে কত টাক… […]